ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে পেঁপে পাতার রস খাবেন যেভাবে

বলা বাহুল্য অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গুর প্রকোপ একটু বেশিই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে ঘরে ঘরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতে মারাও যাচ্ছেন অনেকে। ফলে আমাদের সবার মধ্যেই আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বর্তমান পরিস্থিতি এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে, হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই সব থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। যা বর্তমানে ভয়াবহ দুশ্চিন্তার ব্যাপার।

শত সতর্কতা অবলম্বন করার পরও কোথায়, কীভাবে যে মশা কামড়াচ্ছে তা বোঝাই দায়। কোনভাবেই যেন এ রোগ ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। মশা নিধনের কাজটা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় যেতে হচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গু হয়ে গেলে তখন তো তড়িৎ পরামর্শ চাই।

তবে এই রোগকে মোকাবেলা করতে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকা আবশ্যক। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সবসময় মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। এছাড়া ঘর থেকে মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল, অ্যারোসল বা অন্য যেকোনও পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। এরপরও যদি কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তাহলে উদ্বিগ্ন না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডেঙ্গু হলে রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়। সেই সঙ্গেই ডায়রিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন হয়। এই রোগে শরীরে প্রচুর পানির প্রয়োজন। ডেঙ্গু হলে তাই শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই ডায়েটে প্রচুর পরিমাণ পানি বা তরল খাবার রাখা প্রয়োজন। এসময় স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে পানি, খাওয়ার স্যালাইন, স্যুপ, দুধ, তাজা ফলের রস বেশি বেশি পান করতে হবে।

ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হতে খুবই কার্যকর হতে পারে পেঁপে পাতার রস। এতে আছে কাইমোপ্যাপিন ও প্যাপাইন রয়েছে যা রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। ফলে ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। একাধিক গবেষণায়ও এর প্রমাণ মিলেছে। স্বাস্থ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মেডিকেল এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়।

রস তৈরির নিয়ম:

পেঁপের পাতার রস করতে প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, পরিষ্কার পাটা বা হামান্দিস্তায় থেঁতো করে নিন। এবার রস ছেকে নিয়ে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।

খাওয়ার নিয়ম:

পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন তিন বেলা তিন কাপ পরিমাণ পান করতে দিন। রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন